নিজস্ব প্রতিবেদক :
নরসিংদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ডাকাতসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় বিদেশি পিস্তলসহ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতি, চরাঞ্চলে সহিংসতাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত দুই দিন রবি ও সোমবার নরসিংদী সদর,পলাশ, রায়পুরা ও মাধবদী থানা এলাকায় পৃথক ৪টি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যলয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।তিনি আরও আরও বলেন , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের বেলাটি সাকিনস্থ’ হুওরা বিলে সাদিরের মাছের ঘেরের পাড়ে টং ঘরের ভিতর ডাকাতির প্রস্তুত্তি নিচ্ছে। এসময় সংবাদের ভিত্তিত্তে মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সৈয়দুজ্জামান পুলিশ নিয়ে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে। ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ করে গুলি করার চেষ্টা চালায়। ওই সময় ওসি সৈয়দুজ্জামান ডাকাত শাহ্ আলমকে ঝাপটে ধরিলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তখন ডাকাত শাহ আলম তার হাতে থাকা পিস্তলের বাট দিয়া ওসির মাথায় স্ব-জোরে আঘাত করিয়া গুরুতর জখম করে। পরে পুলিশ ডাকাতদের চারপাশ থেকে ঘিরে ঘটনাস্থল থেকে ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে ওই সময় তাদের কাছ থেকে ০১টি বিদেশী পিস্তল, ০৫(পাঁচ) রাউন্ড গুলি ০১টি ছোরা উদ্ধার করে। অন্যদিকে নরসিংদীর ঘোড়াশালে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১টি বিদেশী পিস্তাল ,১টি পাইপগান ও দেশীয় অস্ত্র সহ ৪ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো মাধবদীর মাটিয়ালকান্দা গ্রামের ইয়াকুব আলী ছেলে নূরে আলম, বেলাব উপজেলার ভাটেরচর গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার তারাকান্দি গ্রামের পূর্ব পাড়ার মোঃ শফিক মিয়ার ছেলে আলামিন ও চালক শিবপুর উপজেলার বংশীরদিয়া গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে আবু তাহের। চরাঞ্চলে টেটাযুদ্ধের মূলহোতা আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু, মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকসহ ১১ জনকে বন্ধুক ও ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।