নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর সদর রোডে মেসার্স শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি খাবার খোলা বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে। না জেনেই এ সব অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনছেন ক্রেতারা। স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা বলছেন, স্থানীয় শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারিতে তৈরি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে খোলা বাজার থেকে খাদ্যদ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সতর্ক থাকা দরকার। নরসিংদী পৌরসভার শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারিতে সরেজমিনে দেখা যায়,কর্মচারীরা হাতে গ্লাভস পরা ছাড়াই ময়দা পিষছেন। অনেককে দেখা যায়, খালি গায়ে আটা-ময়দার স্তূপে দাঁড়িয়ে ময়দা মাখতে। কারও শরীর থেকে ঘাম ঝরছে। কেউ এক হাতে সিগারেট ফুঁকছেন, অন্য হাত দিয়ে কাজ করছেন। খোলা তেলভর্তি ড্রামের ওপর দেখা যায়, মাছি ভনভন করছে। আরো দেখা যায় যেখানে-সেখানে ইঁদুর ও তেলাপোকার বিষ্ঠা ছড়িয়ে আছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এ সব পণ্যই বাহারি মোড়কে বাজারজাত করা হচ্ছে। পণ্যের প্যাকেটে বিএসটিআই সিল ও লাইসেন্স নম্বর দেওয়া থাকলেও, মেসার্স শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারির এসব পণ্য নরসিংদী বড় বাজারে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদী বড় বাজারে গেলে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে খোলা বিস্কুটসহ নানা বেকারি পণ্য। প্রতিটি দোকানে রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। এ সময় কথা হয় কয়েকজন ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে। অধিকাংশ ক্রেতাই জানেন না কেমন পরিবেশে তৈরি খাবার কিনছেন। বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা মেসার্স শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারি থেকে কিনছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁরাও জানেন না এসব খাবার মানবদেহের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর। জামাল উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আমরা তো এত কিছু জানি না। মেসার্স শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারিতে সস্তায় বিস্কুট ও চানাচুর পাওয়া যায়। তাই কিনি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রেতা বলেন, নরসিংদী পৌরসভার অধিকাংশ বেকারির নেই ট্রেড লাইসেন্স, বিএসটিআইয়ের অনুমোদন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে বেকারিগুলো। এতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি খাবার যেমন জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, তেমনি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। এসব নিয়ন্ত্রণের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বিএসটিআই বা প্রশাসনের তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ে না। এ সব খাবারের মান ও অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা পাইকারি দরে কিনে আনি মেসার্স শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারি থেকে। কিন্তু মেসার্স শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারিতে কেমনে বানায় তা তো আমরা জানি না।’ ্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয় মেসার্স শ্রী কৃষ্ণ ভান্ডার বেকারিকে জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানার পরও বেকারির মালিক স্বপন সাহা কখনো এ নোংরা পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ না নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে যান।