নিজস্ব প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলার আয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে সর্বস্তরের জনগণকে । এই ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগপন্থি চেয়ারম্যান এখন আত্মগোপনে রয়েছেন। হামলা, মামলার ভয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গাঢাকা দিয়েছেন। পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় নাগরিকরা ওয়ারিশ সনদ, জন্ম ও মৃত্যুসনদসহ সংশোধিত জন্মনিবন্ধন পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সেবাদানে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারমান দায়িত্ব পালনে সমস্যায় পড়েন। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান আয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান সরকার ।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, আয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ, শুধু সচিব অফিস করছেন। মজিবুর রহমান সরকার আওয়ামীপন্থি চেয়ারম্যান হওয়া ক্ষমতার পালাবদলের কারণে নিজের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রোষানল থেকে বাঁচতে ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন না। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের সেবাগ্রহীতারা বিভিন্ন সনদের আবেদন করেও চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর না থাকায় প্রয়োজনীয় সনদ পাচ্ছেন না। এতে করে জরুরি দাপ্তরিক কাজে ব্যাহত হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।
কাসেম।নামের এক যুবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খুব জরুরি প্রয়োজনে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য তিনদিন পরিষদে এসে ঘুরেফিরে যাচ্ছি কিন্তু চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর মেলেনি।
শাষপুর এলাকার নামে আরেক যুবক একই অভিযোগ করে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা পলাতক থাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের মতো ইউনিয়ন পর্যায়ের সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, দুর্নীতি ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আওয়ামীপন্থি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নানা অপকর্ম করেছে। এখন তারা জনরোষে পড়ার ভয়ে গাঢাকা দিয়েছেন কিন্তু সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের। প্রশাসনের কাছে দাবি, জনগণের সেবা নিশ্চিতে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সচিব আলতাফ হোসেন বলেন,চেয়ারম্যান পরিষদে আসেন না বলে জাানায়