নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর মানবতার প্রতীক সদর উপজেলা পরিষদ থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান জেলা বিএনপি’র বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনজুর এলাহী নরসিংদীর ৩ শিবপুর সংসদীয় আসনে ধানের শীষ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তৃণমূল বিএনপি’র আস্থার প্রতীক। তিনি নরসিংদীর প্রখ্যাত আবেদ পরিবারের সন্তান। তার পিতা মরহুম আবেদ আলী হাজী সমাজসেবা ও দানশীল এর মাধ্যমে আজও সাধারণ জনগণের মনে উচ্চ স্থানে অবস্থান করছে। গত ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দিলে তিনি শহর থেকে গ্রামে সাধারণ জনগণের মাঝে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি করে। তখন তৃণমূল বিএনপি মনে প্রানে বিশ্বাস করতে শুরু করে মঞ্জুর এলাহী এই আসনটি পুনরায় উদ্ধার করতে পারবে। ব্যাপক জনপ্রিয়তা তখন মনজুর এলাহীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। সে সময় আওয়ামী লীগের দুই শক্তিধর প্রার্থী একত্রিত হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে মনজুর এলাহী তথা ধানের শীষ প্রতীকের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগে যায়। তারি ফল হিসেবে ধানের শীষ নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ টি গাড়ি ভাঙচুর করে ও মনজুর এলাহিকে প্রাণে মেরে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীগণ যখন বুঝতে পারল তাকে এভাবে দাবিয়ে রাখা যাবে না তখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে ধানের শীষ প্রতীক তথা মনজুর এলাহি কে নির্বাচনী অযোগ্য ঘোষণা করে। যার ফলশ্রুতিতে শিবপুর উপজেলা তৃণমূল বিএনপির মনে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ২০১৮ সাল থেকে জুলাই আন্দোলনের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নরসিংদী জেলা ও শিবপুর উপজেলায় যতগুলো রাজনৈতিক মামলা হয়েছিল সকল মামলার আর্থিক ও শারীরিকভাবে মনজুর এলাহী সকল নেতাকর্মীর পাশে ছিল। সকল বিপদ-আপদে সাধারণ নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে মনজুর এলাহী। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইনসাফের প্রশ্নে তৃণমূল-বিএনপি মনে করে মনজুর এলাহী ধানের শীষ মনোনয়ন পাবে।