নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পুটিয়া বাজার পশুর হাট লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ইজারাদার ও আগামী বছর মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। জেলার সর্ববৃহৎ পশুর হাট হলো শিবপুরের পুটিয়া বাজার। সপ্তাহে ২ দিন বুধবার ও শনিবার বসে থাকে এই ঐতিহ্যবাহী হাট। নরসিংদী জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই বাজারে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে ক্রেতা-বিক্রেতারা। বিশেষ করে কোরবানী পশুর জন্য বিখ্যাত এই বাজার। কারণ দেশব্যাপী এই বাজারের সুনাম রয়েছে। ফলে ঈদে এই বাজারে হাজার হাজার কোরবানীর পশু বিক্রি হয়ে থাকে। যার কারণে বাজারের রাজস্ব আদায় হয় মোটা অংকের টাকা। এই বাজারটি বছরে ইজারা নেওয়ার জন্য একাধিক ইজারাদার আবেদন করে থাকেন। চলতি বছরে বাজারটি ভ্যাট আইটিসহ ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় ইজারা নেয় স্থানীয় ইজারাদার আরিফ সরকার। ইজারাদারদের আয়ের লক্ষ্য হলো দুটি ঈদ। আর এর মধ্যে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হলো পবিত্র ঈদুল আযহা। এই ঈদে মুসলমানরা প্রচুর পরিমাণে কোরবানীর পশু ক্রয় করে থাকেন। ঈদুল আযহা উপলক্ষে খামারী ছাড়াও গ্রাম গঞ্জের কৃষক-কৃষাণীরা গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া লালন-পালন করে থাকেন। তারা স্বপ্ন দেখেন ঈদে পশু বিক্রি করে সংসারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। কিন্তু এবছর করোনার কারণে খামারী ও কৃষকরা পশু বিক্রি নিয়ে আতংকে আছেন। সরকার করোনার কারণে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষনা করা খামারীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। শনিবার (৩ জুলাই) পুটিয়া পশুর হাট ঢিলেঢালা ভাবে জমলেও প্রশাসনের কঠোরতার কারণে বিকাল ৫ টার মধ্যে বাজার বন্ধ করতে হয়েছে। ফলে তেমন পশু বেচা কেনা হয়নি। এতে ক্রেতা বিক্রেতা ও বাজার কমিটি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে একদিকে ইজারাদার, খামারী ও কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে, অপরদিকে আগামী বছর মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। এ ব্যাপারে খামারি আসাদ বলেন, আমার খামারে ৩৩টি গরু রয়েছে। এক-একটি গরুর মূল্য ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। কোন কারণে পশুর হাট না বসলে পশু বিক্রি করতে না পারলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে যাব। ফলে মানবিক কারণে করোনায় স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে পুটিয়া পশুর হাট বসানো অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করছেন এলাকাবাসী।