নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর ঘোড়াশালে নিখোঁজের ৩ দিন পর মীর মাইনুল হক (২৩) নামে এক ডেন্টিস্ট সহকারীর গলাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুুলিশ।শনিবার বিকেলে উপজেলার ঘোড়াশাল বাজারের টুথ অফিস (ডেন্টাল হাসপাতাল) থেকে ঐ যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। পলাশ থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।নিহত ঐ যুবক ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ফেলু মীরের ছেলে। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘোড়াশাল বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় মাইনুল। এরপর আর বাড়ি ফিরেনি। এছাড়া নিখোঁজের পর মাইনুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে মাইনুলের আর কোনো খোঁজ না পেয়ে পলাশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নিহতের স্ত্রী শ্রাবন্তী আক্তার। পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, শুক্রবার সকালে নিহত মাইনুল হকের স্ত্রী পলাশ থানায় নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। এরপর মাইনুল হকের কল লোকেশন এনে জানতে জানা যায় তার শেষ অবস্থানও ঘোড়াশাল বাজার। তারপর থেকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন তদন্ত করার মধ্যেই খবর পাই, নিহত মাইনুলের গলাকাটা লাশ তার কর্মস্থল টুথ অফিস (ডেন্টাল হাসপাতালে পড়ে আছে। ওসি আরো বলেন, শনিবার বিকেলে টুথ অফিস (ডেন্টাল হাসপাতাল) এর ডাক্তার শিহাবুল হক এসে অফিস খুলতেই দেখতে পায় ভেতরে গলাকাটা অবস্থায় নিহত মাইনুল হকের লাশটি পড়ে আছেন। এরপর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ভালোবেসেই শ্রাবন্তী আক্তার (২০) কে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন মো. মাঈনুল মীর (২৩)। দুজনের পরিবার রাজি না থাকায় গোপনে ‘কোর্ট ম্যারেজ’ করেন তারা। শ্রাবনতীর বাড়ি একই জেলার সদর থানার কামারগাঁও গ্রামে। বিয়ের মাত্র ৬ দিনের মাথায় পুরোনো প্রেমিকার হাতেই জীবন গেল মাইনুল হক মীরের। অন্য মেয়েকে বিয়ের কথা জানতে পেরে কৌশলে মীরকে ডেকে নিয়ে চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন তার পুরোনো প্রেমিকা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইসরাত জাহান মীম (২০)। পুলিশ মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে শনিবার রাত্রে ঘাতক মীমকে আটক করেন।