নরসিংদীঃ নরসিংদীতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমান ও ছাত্রদল নেতা আশরাফুল সহ দুই ছাত্রদল নেতা জোড়া খুনের আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৮ মে) সকাল এগারোটার সময় নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে নিহতের পরিবার ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের উদ্যোগে কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় গত ২৫ মে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদলের দুই নেতা নিহতের ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ সহ অন্যান্য হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ও প্লে-কার্ড নিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে নেতাকর্মীরা।
এসময় বক্তারা বলেন, নিহত সাদেকুর রহমান ছিলেন নরসিংদীর ছআত্রদল নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
সে চেয়েছিল নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী থাকবে না। আর এ জন্য জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর থেকে সে বর্তমান কমিটি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ করে আসছিল। যার কারণে খায়রুল কবির খোকন তার জনপ্রিয়তার ভয়ে তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
দলমত নির্বিশেষে সাদেক একজন কর্মীবান্ধ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী ছিলেন। তার জনপ্রিয়তা সারা জেলায় ছড়িয়ে পড়াই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রক্তের উপর দিয়ে খায়রুল কবির খোকনের রাজনৈতিক উত্থান হয়েছে তাই যে ছেলেটি তার বিপদে সবসময় পাশে ছিল তার বুকে গুলি চালাতে সে একটুও কুন্ঠাবোধ করেনি।
নরসিংদীতে ইতোপূর্বে আরো কয়েজন ছাত্র নেতা নিহতের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসন বরাবর নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
সেগুলোর সুষ্ঠু বিচার হলে নরসিংদীতে আর কোন মায়ের বুক খালি হতো না।
নরসিংদীতে হত্যার রাজনীতির হোতা খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী শিরিন সুলতানাকে আজীবনের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করতে তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি অনুরোধ জানান তারা। সেইসাথে তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে নরসিংদীকে কলঙ্ক মুক্ত করতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নিহতের
ভাই ও মামলার বাদী আলতাফ হোসেন। এসময় জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈনউদ্দিন ভূঁইয়া, ছাত্রদল নেতা তুষার, মাহবুব সরকার, সোবহান খাঁন, মনির হোসেন ভূঁইয়া, মাসুম ও মামুন ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পরে বিক্ষোভ মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় এবং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।