নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদী জেলা পলাশ উপজেলার গকুলনগর গ্রামের মৃত রৌশন আলী ভূইয়ার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়ার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে গাছ কটাতে বাধা দেওয়ায় একই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন কাদির গং মেরে ফেলার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে কোপাতে আসে। সাখাওয়াতের স্ত্রী রোকসানা বেগম নিজের স্বামী ও সন্তান কে বাঁচাতে গিয়ে তাদের দায়ের কোপে মারাত্মকভাবে আহত হয়। এ বিষয়ে পলাশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাখাওয়াত হোসেন। সূত্রে জানা যায়,চরসিন্দুর ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ভূইয়ার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে গাছ কাটাতে বাধা প্রদান করে সে নিজে ও তার পুত্র মাহামুদ হাসান রনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৩১/০৮/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমান ০২:০০ ঘটিকার সময় জহিরুল হক ভূঁইয়া (৬৫), ২। সিদ্দিক ভূঁইয়া (৭০), ৩। ইকবাল হোসেন কাদির (৫৮) সর্বপিতা- মৃত মোহর আলী ভূঁইয়া, ৪। সাব্বির ভূঁইয়া (৩০) পিতা- জহিরুল হক ভূঁইয়া, ৫। সারোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (৩৫), ৬। সানোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (২৮) উভয়পিতা- সিদ্দিক ভূঁইয়া সর্বসাং- গকুলনগর, ডাকঘর- চরসিন্দুর, থানা- পলাশ, জেলা- নরসিংদী। তারা প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও মেরে ফেলার উদ্দেশ্য এগিয়ে আসে। এতে তারা দুজন ভয়ে ডাকচিৎকার শুরু করলে তার স্ত্রী রোকসানা বেগম (৫৪) এবং আশপাশের আরো লোকজন চলে আসে। তখন আওয়ামী লীগ নেতা কাদির ভূইয়ার বড় ভাই জহিরুল হক ভূঁইয়া তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া রনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিতে উদ্যত হইলে তার স্ত্রী সন্তান কে বাঁচাইতে আগাইয়া গেলে তার মাথায় দায়ের কোপ লাগে এবং রক্তাক্ত জখম হয়। এরপর অন্যরা তাদের হাতে থাকা গাছের ডালা দিয়ে তাদেরকে মারধর করে শরীর রক্তাক্ত নীলাফুলা জখম করে। এই পরিস্থিতিতে আরো লোকজন আসলে তাদের সকলকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই বিষয়ে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।