নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নরসিংদী পৌর নির্বাচনে মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগের বিদ্রোহী) এস এম কাইয়ুমের ৩টি নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই দুইঘণ্টা সময়ের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মোট ৩টি ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন এস.এম.কাইয়ূম।
তিবি সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাটিরপাড়া, বিকেলে দত্তপাড়া এবং নাগরিয়াকান্দিতে আমার ৩টি ক্যাম্প ভাংচুর করেছে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা। এ সময় তারা পোস্টার ছিড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এব্যাপারে আমি আমার কর্মী-সমর্থকদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। সকল প্রকার আইন বিরোধী কাজ থেকে দূরে থাকতে বলেছি। সম্মানিত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় এবং রির্টানিং অফিসারগণ আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন, নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে। আমি এবং সমগ্র নরসিংদীবাসী তাঁদের কথায় বিশ্বাস রাখছি। তাঁদের সম্মানে আমি এবং আমার সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবে। ’
তিনি আরো বলেন, পোষ্টার ছিড়ে, নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙ্গে, মানুষের গায়ে হাত তুলে, অত্যাচার করে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। ভোট বাড়ে না। কারণ মানুষ এখন সচেতন হয়েছে। প্রতিবাদ করতে শিখেছে। আগামী ১৪ তারিখ এই ভোট চোর, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখেও দাঁড়াবে। দুপুরে ও বিকালে আমার ক্যাম্প ভাঙ্গার পরে আমি সন্ধ্যায় শহরের কয়েকটি এলাকায় ভোট চাইতে গিয়েছি, ভোট প্রার্থনা করেছি। মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত যে অংশ গ্রহণ আমি দেখেছি, এতে আমি বুঝেছি, পোষ্টার ছিড়ে, আগুন দিয়ে, নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙ্গে মোবাইল প্রতীকের ভোট কমেনি, বরং বেড়েছে। তারা মানুষকে এসব করে মানুষকে আতঙ্কিত করতে চেয়েছিল। মানুষের আতঙ্কের বদলে সাহসী হচ্ছে। কারণ দেয়ালে তাঁদের পিঠ ঠেকে গেছে। তারা সন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ’
এদিকে নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাংচুরের অভিযোগ তুলে রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী হারুন অর রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ এতদিন সুষ্ঠু থাকলেও আজ আওয়ামীলীগ সমর্থকদের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন স্থানে আমার চারটি ক্যাম্পে ভাংচুর করা হইয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
এব্যাপারে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমজাদ হোসেন বাচ্চু জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের করা এসব অভিযোগ আমি শুনেছি। তবে যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন আমি আমার প্রচারণার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ক্যাম্প ভাংচুরের অভিযোগের বিষয়ে আমার তেমনি কিছু জানা নেই।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ জানান, দুপুরের দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি ক্যাম্প ভাংচুরের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।