নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীতে চরদিঘলদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের টেঁটাযুদ্ধ সংগঠিত
শুক্রবার (১৯ মার্চ) ভোর পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার মাধবদী থানার চরদীঘলদী ইউনিয়নের চরদীঘলদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।টেঁটাবিদ্ধরা হলেন— হযরত আলীর ছেলে মো. ইউনুস (২১), নাসির মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (৩০)। অজ্ঞাত টেঁটাবিদ্ধ একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আহত মোছলেম উদ্দিন ও শফি মিয়াকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সদর উপজেলার চরদীঘলদী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও অন্যটির নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মনসুর। শুক্রবার ভোরে শওকত আলীর সমর্থকরা টেঁটা, দা ও বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যান আবু মনসুরের সমর্থকদের বাড়িঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় হামলা চালায়। হামলায় তিনজন টেঁটাবিদ্ধসহ মোট আহত হয় পাঁচ ব্যক্তি। নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টেঁটাবিদ্ধ মো. ইউনুস অভিযোগ করেন, শওকত আলীর সমর্থকরা ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। আলী হোসেন, আলী আজগর, জাহাঙ্গীর, আজিজ, নূর মোহাম্মদ ও মুক্তারসহ শতাধিক লোক মিলে এই হামলা চালিয়েছে। নরসিংদীর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজী সরকার জানান, একজনকে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার হাত ও পা থেকে টেঁটা অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুজন আহত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চরদীঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মনসুর বলেন, “গত মাসের ১৭ তারিখে ওই গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে আমাদের লোকজনের জমি সংক্রান্ত একটি বিরোধ হয়েছিল। ওই সংঘর্ষে আমাদের লোকজন আহত হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা যার যার বাড়িতে ফিরলে ভোরে শওকত আলীর লোকজন পুনরায় হামলা চালায়। এতে আমার পাঁচ সমর্থক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।”
চরদিঘলদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এক গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী শওকত আলী জানান, “আমি বা আমার সমর্থকরা কোনভাবেই এই হামলার সাথে জড়িত নই। এলাকায় মাদক ব্যবসা করে এমন তৃতীয় একটি পক্ষ এই হামলা চালিয়ে এর দায় আমাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে।”
এ ঘটনা মাধবদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আইন-শৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনে।