নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অবঃ প্রাপ্ত সেনা সদস্যের উপর হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে সেনা সদস্যের স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪৬) রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে, যাহা রায়পুরা থানা মামলা নং- ১৬/২৪৭, তারিখঃ ১৩/১০/২০২১ইং, ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩২৫/৩২৬/৩৭৯/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড- ১৮৬০। বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১১ই অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় অবঃ প্রাপ্ত সেনা সদস্য আঃ করিম (৫৫) নিজ বাড়ী হইতে হাইরমারা বাজারের উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে একই গ্রামের শমসের খান চম্পা (৫৫), পিতামৃত- লতু খান এর বাড়ীর সামনে পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দেশীয় ধারালো দা, চাপাতি, ছুরা, লোহার রড, শাবল লাঠি-সুটা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মারমুখী অবস্থায় করিমের পথরুদ্ধ করিয়া রাখে। করিম পথরুদ্ধ করার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে শমসের খান চম্পার হুকুমে হোসেন মিয়া (৬০), পিতামৃত- লতু খান, পারভীন আক্তার (৪৫), স্বামীমৃত- নাজিম উদ্দিন খান, মোঃ পারভেজ মিয়া (২৫), পিতামৃত- নাজিম উদ্দিন খান, শারফিন মিয়া (৩৮), পিতা- হোসেন মিয়া, নীলা আক্তার (২২), পিতামৃত- নাজিম উদ্দিন খান, পায়েল (১৯), পিতামৃত- নাজিম উদ্দিন খান গণ এলাপাথারিভাবে অবঃ প্রাপ্ত সেনা সদস্যের উপর হামলা চালায় এবং রক্তাক্ত জখম করে। আঃ করিম প্রাণ রক্ষার্থে ডাক চিৎকার করিলে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে ভয়-ভীতি দেখাইয়া আসামীরা চলে যায়। এলাকাবাসী অবঃ সেনা সদস্য কে মুমূর্ষু রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করিয়া দুলাল খান, তৌফিক মিয়া, সাদ্দাম হোসেন এবং অজ্ঞাতনামা সিএনজি ড্রাইভারের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বেগতীক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কমবাইন্ড মিলিটারী হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরছে। এলাকাবাসী জানায়, করিম অবঃ প্রাপ্ত সেনা সদস্য ও অত্যন্ত ভালো লোক, তার দুই ছেলে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বর্তমানে কর্মরত আছে। অপরদিকে চম্পা এলাকার দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক, চম্পা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলছে। তার অত্যাচারে ভয়ে সাধারন মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এ বিষয়ে এলাকাবাসী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছে।