শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
নরসিংদীতে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক বিতরণ নরসিংদী বেলাবতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা,প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর. পক্ষ থেকে এমপিকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাশে তিন বছরের শিশু মাইশার লাস উদ্ধার আটক ৩ নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলায় সরকারি ইটের সলিং রাস্তা উঠিয়ে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য অকুতোভয় রাজনীতিক প্রখ্যাত সাংবাদিক কামাল হায়দার স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত এশাআতে দ্বীন নু্রানী তালিমূল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পু্রুষ্কার বিতরণ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও করতে হবে……… আলহাজ্ব মোঃ সামসুল ইসলাম মোল্লা নরসিংদীর শিবপুর সাব রেজিস্ট্রার নেই ..হতাশায় গ্রাহক চিত্রশিল্পী আল-আমীনের আঁকা ছবি গুলো সংরক্ষণের প্রয়োজন
প্রবীণ সাংবাদিক নিবারণ রায় পেলেল বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড

প্রবীণ সাংবাদিক নিবারণ রায় পেলেল বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড

 হলধর দাস:

নরসিংদীতে তৃণমূল সাংবাদিকতাকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন কারো নাম নিতে হলে প্রথমে আসবে নিবারণ চন্দ্র রায়। সাদাসিধে সহজ সরল নির্লোভ মানুষ হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে পথ চলা শুরু হলেও পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতা। ১৯৭২ সাল থেকে শুরু করে আজও করছেন। বর্তমানে তিনি ইত্তেফাকের নরসিংদী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তাঁর সুদীর্ঘ ৫০ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে প্রথম স্বীকৃতি হিসেবে পেলেন বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১।  সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে নিবারন রায়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। এসময় তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ ও ১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দেশের সবচেয়ে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক নাসিম ও বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর জুরিবোর্ড প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। এছাড়া ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ আহ্বায়ক ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর উপস্থিত ছিলেন।দেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো ‘বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ আয়োজন করেছে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। জুরিবোর্ডের বিচারে ৫টি ক্যাটাগরিতে মোট ১১ জন অনুসন্ধানী সাংবাদিক পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এয়াড়া তৃণমূল সাংবাদিকতায় অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে মোট ৬৪ জন গুণী সাংবাদিককে সম্মাননা দেওয়া হয়।  অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে নিবারণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সুদীর্ঘ ৫০ বছরের সাংবাদিকতার স্বীকৃতি পেলাম। তৃণমূলের মফস্বল সাংবাদিকতার জীবনে এটাই প্রথম ও সেরা সম্মাননা। কৃতজ্ঞতা জানাই বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃপক্ষকে। পাশাপাশি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি জুরিবোর্ডের সদস্যদের। যারা তৃণমূলের সাংবাদিক হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছেন।’নিজের জীবনের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নিবারণ চন্দ্র রায় বলেন, মূলত ছেলেবেলা রেডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন ভাষণ শুনতে শুনতে রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হই। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সাটিরপাড়া কালিকুমার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হই নরসিংদী সরকারি কলেজে। মূলত তখনই যুক্ত হই  ছাত্র রাজনীতিতে। ১৯৬৯ থেকে ৭০ সাল পর্যন্ত কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।১৯৭০ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ মহকুমা (উত্তরাঞ্চল) ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৭৪ সালে ছাত্রলীগের একটি অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণির নরসিংদী আগমনের সময় যুবলীগ করতে অনুপ্রাণিত হই। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালেই তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ মহকুমা (উত্তরাঞ্চল) যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হই।এদিকে যুদ্ধ পরবর্তীতে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও মনে মনে লালিত স্বপ্ন ছিল, সাংবাদিক হওয়ার। ১৯৭২ সালে কলেজের ছাত্র অবস্থায় শেখ ফজলুল হক মণি সম্পাদিক বাংলার বাণী পত্রিকায় নরসিংদী সংবাদদাতা হিসেবে যুক্ত হই সাংবাদিকতায়। ওই বছরই তখনকার ইত্তেফাকের নরসিংদী সংবাদদাতা ঈশ^র চন্দ্র সূত্রধরকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি নরসিংদী প্রেসক্লাব।পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে বাকশাল শুরু হলে ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, অবজারভারব ও বাংলাদেশ টাইমস ব্যতীত সব পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে শেখ ফজলুল হক মণির সহযোগীতায় ১৯৭৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের নরসিংদী সংবাদদাতা হিসেবে কাজ শুরু করি। নানা চড়াই উতরায়ের মধ্য দিয়ে ৪৬ বছর ধরে আকড়ে আছি সেই ইত্তেফাকে।নরসিংদী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে টানা ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। পরবর্তীতে সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছি কয়েকবার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শেও সৈনিক ও শেখ ফজলুল হক মণির অন্ধ ভক্ত হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। আমি ১৯৫২ সালের ৩০ আগস্ট নরসিংদীতে জন্মগ্রহণ করি। ১৯৭৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ঊষা রানী রায়কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করি। ব্যক্তি জীবনে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক তিনি।এই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে প্রবীণ সাংবাদিক নিবারণ রায়কে জাগো নরসিংদী ২৪ ডটকম‘র পক্ষ থেকে  জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ




raytahost-demo
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD