বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
শিবপুর উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত নরসিংদী সরকারি কলেজে ছাত্রদলের কমিটি গঠন উপলক্ষে ফরম বিতরণ শিবপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত নরসিংদী পৌর শহরের কামারগাঁও এলাকা থেকে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার নরসিংদীতে তাঁত বোর্ড শিক্ষার্থীদের নানা দাবীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ নরসিংদীতে ফেসবুকে মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে এক যুবক গ্রেপ্তার শিবপুরে থানা থেকে আ:লীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক নরসিংদীতে বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন চেয়ারম্যান অনুপস্থিতিতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আয়ুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে সর্বস্তরের জনগণ শিবপুর পৌর বিএনপির আয়োজনে সুলতান উদ্দিন মোল্লা স্মরণে আলোচনা সভা
আসামিদের ফাঁসাতে গিয়ে শেষে, নিজে ফেঁসে গেলেন

আসামিদের ফাঁসাতে গিয়ে শেষে, নিজে ফেঁসে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসাতে নিজের শরীর ছুরি দিয়ে কেটে চামড়ার ভেতর লোহার টুকরা ঢুকিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মামালার সাক্ষী। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন। গতকাল নরসিংদী জেলা হাসপাতালে গিয়ে সজিব মিয়া (৩০) নামে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেন। আজ পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন, ওই ঘটনা ছিল সাজানো নাটক।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ২০১৫ সালে নরসিংদীর শিবপুরে পুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আরিফ পাঠানকে হত্যা মামলার সাক্ষী সজিব মিয়া গত ১১ অক্টোবর আদালতে মামলার সাক্ষ্য দেন। এর পরদিন, মামলার ৪ আসামির নাম উল্লেখ করে জীবননাশের হুমকিতে আছেন দাবি করে মাধবদী থানায় জিডি করেন। গতকাল, ১৪ অক্টোবর দুপুরে সদর উপজেলার পাঁচদোনা এলাকায় নির্জন একটি পুকুরপাড়ে গিয়ে মামুন নামে তার এক বন্ধুর সহায়তায় চাকু দিয়ে নিজের বুকের ডানপাশে নিজেই ছিদ্র করে তার ভেতরে লোহার ছোট টুকরা ঢোকান সজিব। ঘটনার পর মামুন সজিবকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার এবং সাংবাদিকদের সামনে সজিব দাবি করেন, হত্যা মামলার সাক্ষ্য দেয়ায় মামলার আসামিরা তাকে গুলি করে।
পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কোনো অস্ত্রোপাচার ছাড়াই সজিবের বুকের চামড়ার নিচ থেকে লোহার টুকরা বের করে তাকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসক।
পরে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলে সাক্ষী সজিব মিয়া স্বীকার করেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছেন তিনি। এই নাটকের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি জানেতে তদন্ত করছে পুলিশ ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ




raytahost-demo
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD