শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
নরসিংদীতে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক বিতরণ নরসিংদী বেলাবতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা,প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর. পক্ষ থেকে এমপিকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাশে তিন বছরের শিশু মাইশার লাস উদ্ধার আটক ৩ নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলায় সরকারি ইটের সলিং রাস্তা উঠিয়ে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য অকুতোভয় রাজনীতিক প্রখ্যাত সাংবাদিক কামাল হায়দার স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত এশাআতে দ্বীন নু্রানী তালিমূল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পু্রুষ্কার বিতরণ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও করতে হবে……… আলহাজ্ব মোঃ সামসুল ইসলাম মোল্লা নরসিংদীর শিবপুর সাব রেজিস্ট্রার নেই ..হতাশায় গ্রাহক চিত্রশিল্পী আল-আমীনের আঁকা ছবি গুলো সংরক্ষণের প্রয়োজন
নরসিংদীতে দলিল রেজিস্ট্রি করতে ১ কোটি টাকা দাবি করে ভাইরাল লিটন

নরসিংদীতে দলিল রেজিস্ট্রি করতে ১ কোটি টাকা দাবি করে ভাইরাল লিটন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নরসিংদীতে দলিল রেজিস্ট্রি করতে ১ কোটি টাকা দাবি করে রায়পুরা উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিস সহায়ক লিটন। শুধু এস এ খতিয়ান থাকায় ১ কোটি টাকা ঘুস দাবি  অফিস সহায়কের এমনটাই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে ভাইরাল  । কোটি টাকার ঘুস দাবির সংবাদ ও সংবাদের প্রতিবাদেরঝরবইছে ফেইসবুকে।রায়পুরায় টাকার অংক বেশি চাওয়ায় দলিল দাতা ও দাত্রী মনোহরদী সাবরেজিস্টার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি  ভূমি রেজিস্ট্রি করে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে নরসিংদী সদর সাবরেজিস্টার অফিসে। জানাযায়,নরসিংদী দত্তপাড়ার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে প্রবাসী নাজমুল হোসেন বাদল গং সাটিরপাড়া মৌজাস্থিত এস, এ ৭১১ খতিয়ানে সাবেক ৩১৪ নং দাগে ১৩২ শতাংশ ভূমির মালিক।তিনি তার সম্পত্তি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলে সাধন চন্দ্র সূত্র ধর গং ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। দামধর ঠিক হলে তিনি রায়পুরা উপজেলার সাবরেজিস্টার জবা মন্ডলের কাছে কথা বলে। তিনি তার পছন্দের লোক রায়পুরা সাবরেজিস্টার অফিস সহায়ক লিটনের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। লিটন রায়পুরার দলিল লেখক মাইদুল কে সাধন বাবুর নরসিংদী বাজির মোড় অফিসে পাঠায়। মাইদুল সকল কাগজপত্র দেখে জানায় ১ কোটি টাকা লাগবে এই জমি রেজিস্ট্রি করতে। তখন সাধন বাবু ৩ লক্ষ টাকা দিতে চায়।সে মুঠো ফোনে লিটনের সাথে কথা বলে জানায় কম দিলে হবে না। এস এ খতিয়ান দিয়ে কম টাকায় কাজ করা যাবে না। এ বিষয়ে সাধন বাবু জানায়,নরসিংদী সদরে নির্ধারিত সাবরেজিস্টার না থাকায় রায়পুরার সাবরেজিস্টার সাপ্তাহে দুইদিন সদরে অফিস করে, তাই অফিস সহায়ক লিটন ও দুইদিন সদরে কাজ করে। সেই সুবাদে লিটন দলিল লেখক মাইদুল কে আমার কাছে কাগজপত্র দেখতে পাঠায়। মাইদুল কাজগ দেখে মোবাইল ফোনে লিটনের সাথে কথা বলে আমার কাছে ১ কোটি টাকা ঘুস দাবি করে। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন আবু সিদ্দিক, নয়ন দাস,শান্তি রঞ্জন রায় সহ আরো অনেকে। পরবর্তীতে আমরা মনোহরদীর সাবরেজিস্টার সিরাজুল ইসলাম সাহেব কে দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করি। বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, অফিস সহায়ক লিটনের যোগসাজশে রায়পুরা উপজেলার চরসুবুিদ্ধ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জাল রসিদে খাজনা দেখিয়ে জমির দলিল রেজিষ্ট্রি করে দলিল লেখক আমির। এই খবর ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা ততক্ষণাত সাবরেজিস্টার জবা মন্ডল, এসিল্যান্ড শফিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তারা লিটন কে তলব করলে সে জানায় সবকিছু ঠিক আছে। পরর্বতীতে ভূমি অফিসের কম্পিউটার চেক করে ভূয়া প্রমানিত হয়। রায়পুরা উপজেলার সাধারণ জনগন জানায়, লিটন সরকারি রাজস্ব ফাকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হইছে। দলিল প্রতি ৫ হাজার টাকা আাদায় করা, না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ রাখা তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার। এ বিষয়ে অফিস সহায়ক লিটনের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নিতে গেলে তিনি কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক ও দলিল লেখক নিয়ে আসে। তারা নিউজ না করার অনুরোধ করে এবং টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেস্টা করে । দলিক লেখক মাইদুলের মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়া সত্বেও তিনি ফোন রিসিভ করে নি। নরসিংদীর বিভিন্ন ভূমি উপসহকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা সবাই একই মত প্রকাশ করে যে,এস এ খতিয়ানে ভূমি রেজিস্ট্রি হয় না। এস এ এর সাথে আর এস খতিয়ান থাকতে হবে। নরসিংদী জেলা সাবরেজিস্টার আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম জানায়, এটা কোন সাব কবলা দলিল না এটা ঘোষণা পত্র দলিল।যে কেউ যেকোন বিষয়ে ঘোষনাপত্র দলিল করতে পারে। উল্লেখ্য নরসিংদী সদর সাব রেজিস্টার অফিসে নির্ধারিত রেজিস্টার না থাকায় রায়পুরা সাব রেজিস্টার , মনোহরদী সাব রেজিস্টার ও শিবপুর সাব রেজিস্টার সদরে অফিস করে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ




raytahost-demo
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD