শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
নরসিংদীতে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক বিতরণ নরসিংদী বেলাবতে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা,প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর. পক্ষ থেকে এমপিকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাশে তিন বছরের শিশু মাইশার লাস উদ্ধার আটক ৩ নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলায় সরকারি ইটের সলিং রাস্তা উঠিয়ে ফেলেছে দুষ্কৃতকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য অকুতোভয় রাজনীতিক প্রখ্যাত সাংবাদিক কামাল হায়দার স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত এশাআতে দ্বীন নু্রানী তালিমূল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পু্রুষ্কার বিতরণ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও করতে হবে……… আলহাজ্ব মোঃ সামসুল ইসলাম মোল্লা নরসিংদীর শিবপুর সাব রেজিস্ট্রার নেই ..হতাশায় গ্রাহক চিত্রশিল্পী আল-আমীনের আঁকা ছবি গুলো সংরক্ষণের প্রয়োজন
প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে আন্দোলন করেছে এসএসসি শিক্ষার্থীরা

প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে আন্দোলন করেছে এসএসসি শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি  :  এস এস সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে ঢুকতে না দেয়া, টাকা নিয়েও খরচ না করা, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও অসৌজন্য মূলক আচরনের প্রতিবাদে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে স্কুল প্রাঙ্গণে আন্দোলন করেছে এসএসসি শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল বিদ্যালয়ের ভিতর এবং সন্ধ্যায় বিদ্যায়ের গেইটের সামনে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করে। বিদায়ী এসএসসি পরীক্ষার্থী লুবানা, শাহরিয়া ও হামজা বলেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। বিদায় অনুষ্ঠানে একটি প্যান্ডেল করা এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করার কথা থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই করেননি। আমাদেরকে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে স্কুলের গেইটের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। পরবর্তীতে জোর করে আমরা স্কুলে ডুকি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে বিদায় দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার তা করেননি। পরে স্কুলের অন্য শিক্ষকরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমাদের বুঝিয়ে গোজামিল দিয়ে বিদায় করে দেয়ার চেষ্টা করে। পরে যখন আমরা তা মানতে না রাজ; তখন হলরুমে তিনজন শিক্ষককে নিয়ে মাত্র তিন মিনিটের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দেয় প্রধান শিক্ষক। তিন মিনিটের মধ্যে আমাদেরকে বিদায় দিয়ে বাড়ী পাঠানো চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আমাদের স্কুলে ৫১ জন শিক্ষক ছিল, কিন্তু বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক কাউকে আসতে দেননি। উনি নিজে অফিস কক্ষে বসে ছিলেন। মাত্র তিন জন শিক্ষককে পাঠিয়েছেন আমাদের বুঝিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দিতেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার গত দুই বছর আগে আমাদের স্কুলে এসেছে। উনি আসার পরপর বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফান্ডের নামে টাকা তোলা হয়। প্রতিদিন আমাদেরকে যে খাবার দেয়া হয় তা খুবই নিম্ন মানের। এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে উনি মানসিক নির্যাতন করে। আমাদের অনেক সহপাঠীদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছেন। উনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রত্যাহার না করা হবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। পরে রাত সাড়ে ৮টায় খবর পেয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন এর হস্তক্ষেপে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাড়ী ফিরে যায়। অভিযোগের বিষয়ে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলী আক্তার বলেন, প্রচুর খরচ হওয়ার কারণে এবছর বিদায় অনুষ্ঠানটি আমরা ক্লাশ রুমে আয়োজন করি। আর একারণেই শিক্ষার্থীরা এ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে শিক্ষার্থীদের বাড়ী পাঠানো হয়েছে। তারা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

উল্লেখ্য  ইতির্পূবেও  প্রধান শিক্ষিকা শিউলি আক্তারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জাতীয় দৈনিক সহ স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ পত্রিকা গুলোতে ফলাও করে প্রকাশ করা হয়। এ সকল সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর প্রধান শিক্ষিকা শিউলি আক্তারের স্বরূপ উন্মোচিত হলে সাধারণ মানুষ তার অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করে। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত কমিটি স্থবির হয়ে গেলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে যায়। সে বিদ্যালয়ের এল এম এস পদের ছয়জনকে চাকরি চুত্য করে। চাকরি চুত্য হওয়া রওশন আলী, পেয়ারা বেগম, আকলিমা, তামান্না, মিনু ও রাজেশ বর্তমানে সংসার চালাতে গিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছে। অপরদিকে বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষক সেলিম সিদ্দিকী ইংরেজি, মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান অংক, তাহমিনা ফেরদৌস ইংরেজি রহস্যজনক কারনে তাদের বদলির আদেশ হয়। তাহার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্বেচ্ছায় বদলী হন জোহরা খাতুন বাংলা। অন্যান্য সহকারী শিক্ষকগণ যারা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল তাদের উপর চলছে বিভিন্ন রকমের মানসিক নির্যাতন।। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান তলানিতে ধাবিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করার না শর্তে বিদ্যালয়ের কিছু অভিভাবক জানায়, প্রধান শিক্ষিকার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমাদের সন্তানরা সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ




raytahost-demo
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD