নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ঘোড়াশাল পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটির আয়তন ২৭.৫ বর্গকিলোমিটার। এখানে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার লোকের বসবাস। মোট ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩শত জন। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত ঘোড়াশাল শিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত।
এখানে রয়েছে দেশের বৃহত্তর দুটি ইউরিয়া সার কারখানা, ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের তিনটি ফ্যাক্টরী, ওমেরা পেট্রোলিয়াম, ডায়িং ফ্যাক্টরী, বাংলাদেশ জুট মিল, জনতা জুট মিলসহ পাঁচটি জুট মিল, সিমেন্ট ও রড ফ্যাক্টরীসহ অসংখ্য ছোট বড় শিল্প কারখানা। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কর্মরতদের তালিকা হিসেব করলে এ পৌরসভায় বসবাসরত লোকের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। দেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভা হলো ঘোড়াশাল।
বর্তমানে টানা দ্বিতীয় বারের মতো ঘোড়াশাল পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শরীফুল হক শরীফ। তিনি ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে আসন্ন ঘোড়াশাল পৌর নির্বাচনে জনগণ পরিবর্তন চায় দাবি করে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের পরিচালক, পলাশ উপজেলা যুবলীগ সধারণ সম্পাদক ও মেয়র পদপ্রার্থী আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে আসন্ন ঘোড়াশাল পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়ে মাঠে কাজ করছি। জনগণের কাছ থেকেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে এবং সকলের দোয়া ও সমর্থনে আমি যদি ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র হিসেবে জয়ী হই। তবে ঘোড়াশাল পৌরসভা হবে আধুনিক, জনবান্ধব, চাঁদাবাজমুক্ত, সন্ত্রাস-মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত একটি ডিজিটাল পৌরসভা। এখানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মুক্তমত প্রকাশের অধিকার থাকবে। জনগণের চাহিদা ও মতের ওপর বৃদ্ধি করে ঘোড়াশাল পৌরসভার বাজেট হবে।
শুধু তাই নয়, আমি মেয়র হলে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্নীতির পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনা বৃদ্ধি করা হবে। তাছাড়া নারী নির্যাতন, ইভটিজিং প্রতিরোধ ও বাল্য বিয়ে বন্ধে নারীদেরকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে বিভিন্ন সেমিনার ও কমিটি গঠন করা হবে।
দলীয়ভাবে মেয়র প্রার্থী হিসেবে তুষারকে সমর্থন করে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার বাবা ১৯৭৩ সালে তৎকালীন কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। মা ছিলেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
তাই দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণ আমার পাশে আছে। তবে অন্যান্য উপজেলার মতো পলাশ উপজেলায়ও জনপ্রতিনিধিরা দলীয় বড় বড় পদটাকে কব্জা করে রাখায় হয়তো কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীরা ভয়ে বা স্বার্থের জন্য আমাকে সমর্থন দিচ্ছে না। তবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোড়াশাল পৌর জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাবে। জনগণের দাবি অনুযায়ী আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবে।