ডেস্ক রিপোর্টঃ
কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য সায়েন্স নিউজ নামের একটি গণমাধ্যমের বিচারে বাছাই করা ১০ বিজ্ঞানীর একজন হয়েছেন ২৯ বছর বয়সী বাংলাদেশী তরুণী তনিমা তাসনিম অনন্যা। তিনি বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞানে পড়ার সুযোগ না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
তনিমা তাসনিম এর আগে নাসা ও সার্নে ইন্টার্নশিপ করেছেন। তনিমা বর্তমানে ডার্টমাউথ কলেজের একটি পোস্টডক্টোরালের গবেষণা সহযোগী। ২০১৯ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তাসনিমের বাবা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সায়েন্স নিউজ এ তালিকা প্রকাশ করে। এ নিয়ে সায়েন্স নিউজ টানা ছয় বছর ধরে উদীয়মান ও ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি থাকা সম্ভাবনাময় তরুণ বিজ্ঞানীদের তালিকা প্রকাশ করছে।
এসএনটেন : সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় শুরুতেই স্থান পেয়েছেন তনিমা তাসনিম। ২৯ বছর বয়সী এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার কারণে এই স্বীকৃতি পেলেন।
তনিমা তাসনিম অনন্যা, বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞানে পড়ার সুযোগ না থাকায় আমি পেনসিলভেনিয়ার ব্রায়ান মাওর কলেজে পড়তে স্নাতক পর্যায়েই যুক্তরাষ্ট্রে চলে এসেছিলাম।
সায়েন্স নিউজের ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, পাঁচ বছর বয়সে ঢাকায় থাকার সময় থেকেই তনিমা তাসনিমের মধ্যে মহাকাশের স্বপ্ন বুনে দেন তার মা। তিনি মেয়েকে তখন শোনাতেন মঙ্গলে অভিযানে যাওয়া পাথফাইন্ডার মহাকাশযানের গল্প। সেই থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে তনিমার। ওই সময় থেকেই মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এটি সম্পন্ন করেছেন।
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হোসেননগর গ্রামের এম এ কাইয়ুম সাহেবের কন্যা তনিমা তাসনিম অনন্যা বিশ্বের সেরা তরুণ ১০ জন বিজ্ঞানীর মাঝে একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।