নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার সল্লাবাদ ইউনিয়নের নিলক্ষীয়া এলাকায় মধ্যরাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী’র দায়ের কোপে নিহত হয় হতভাগা স্বামী অমৃত।
৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আল আমিন (ডিএসবি) জানান, গতকাল বুধবার রাত অনুমান ১২.৩০ টায় সময় পুলিশ সংবাদ পায় যে, বেলাব থানাধীন সল্লাবাদ ইউপিথর নিলক্ষীয়া গ্রামের জনৈক অহিদুজ্জামান এর বাড়ির পাশে একজন পুরুষ ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে।
উক্ত সংবাদ পেয়ে বেলাব থানার অফিসার ইনচার্জ সহ অফিসার ফোর্স সেখানে হাজির হয়ে জানতে পারে যে, উক্ত লাশটি নিলক্ষিয়া সাকিনের মৃত সুলতানের ছেলে অহিদুজ্জামান অমৃত এবং তার বাড়ীর ঠিক পাশেই মৃতদেহটি পড়ে ছিল। তার বয়স অনুমান ৬৫ বছর, তার স্বাস্থ্য শীর্ন ও দূর্বল প্রকৃতির। ইতোমধ্যে রাত্রিকালীন তদারকি ডিউটি করাকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), নরসিংদী মোঃ আল-আমীন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃত অহিদুজ্জামান অমৃতের ঘরের দরজায় রক্তের সামান্য দাগ পাওয়ায় এবং আশে-পাশের আলামত দেখে সন্দেহ হয় যে, খুনটা ঘরের ভিতরে হয়ে থাকতে পারে। মৃতের স্ত্রীর আয়েশা আক্তারকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আয়েশা আক্তার খুনের কথা স্বীকার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, তার স্বামী একজন মাদকসেবী এবং সে মূলত গাজা সেবন করে প্রায়ই তাকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করত। ঘটনার দিন রাত অনুমান ৯টা থেকে ঝগড়া ও গালিগালাজ শুরু করে রাত অনুমান ১১/১১.৩০ ঘটিকার সময় অহিদুজ্জামান অমৃত দা দিয়ে স্ত্রীকে কোপ দিতে আসলে দুইজনের ধস্তা-ধস্তির এক পর্যায়ে স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৩৮) অমৃতের হাত থেকে দা নিয়ে অমৃত গলায় কোপ দেয়। অমৃতের গলা কেটে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে খাটের উপর পড়ে যায় এবং মৃত্যুরবণ করে।
স্ত্রী আয়েশা আক্তার তার স্বামীর লাশ কোলে করে ঘরের বাহিরে উঠানে রেখে আসে। বিছানায় থাকা কম্বল ও কাথা টিউবওয়ের বালতিতে ধৌত করে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত দা ধৌত করে মুছে চৌকির নিচে রেখে আবার সে বিছানা ঠিক করে শুয়ে পড়ে। একটু পরে ঘর হতে বের হয়ে চিৎকার করে তার স্বামীকে কে বা কারা হত্যা করেছে বলে প্রতিবেশীদেরকে জানায়। পরে প্রতিবেশীরাই থানা পুলিশকে ফোন দিয়ে জানায়।
আটক আয়েশা আক্তারকে আসামী করে বেলাব থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক আয়েশা আক্তারকে আজ নরসিংদী আদালতে প্রেরন পূর্বক জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।