নিজস্ব প্রতিবেদক: নরসিংদী সদর উপজেলার কাঠালিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী গ্রামের টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক শাহ আলম কে হত্যার চেষ্টা করে একই গ্রামের সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে পাওয়ারলুম শ্রমিক শাহ আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তার নরসিংদী বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্রে জানা যায় একই গ্রামের হোসেন মিয়ার পুত্র নাজমুল ও এনামুল সঙ্গবদ্ধ হয়ে শাহ আলমের বাড়ির পাশে মাদ ক বেচাকেনা সহ সেবন করে ও তার কন্যা সন্তানের সাথে ইভটিজিং করে। শাহ আলম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবগত করে ও তাদের হীন কাজের প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় নাজমুল গং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ই ডিসেম্বর রাত অনুমানিক আড়াই ঘটিকার সময় মিল থেকে শাহ আলম বাড়ি ফেরার পথে হোসেন মিয়া, নাজমুল, এনামুল, হেলাল সহ পাঁচ ছয় জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শ্রমিক শাহ আলমের উপর অতর্কিত হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা করে। শাহ আলমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে শাহ আলম কে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখাদিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। উক্ত বিষয়ে শাহ আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তার বিজ্ঞ আদালতে মামলা করিলে মামলার প্রধান আসামী হুসেন ও নাজমুলকে পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে হুসেন ও নাজমুল জেল হাজত থেকে বেরিয়ে আরো উগ্র হয়ে যায়। বাদী পারভীন আক্তার কে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে আসছে। সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে শাহ আলম বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে । পাঁচজন কন্যা সন্তান নিয়ে বাদী পারভিন আক্তার অসহায় জীবন যাপন করছে অপরদিকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে বাদী পারভীন বেগম প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছে।