নরসিংদী প্রতিনিধি :
দেশের বিভিন্ন স্থানের শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতারণার মামলায় প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যের ২জনকে ৩দিন করে রিমান্ড ও ১জনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ দুপুরে নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. রকিবুল ইসলাম এই আদেশ দেন। আসামীরা হলো- বাগেরহাট জেলার বেড় গজালিয়ার মৃত. সামছুর রহমানের ছেলে ও এম.এম.এস সোর্সিং এর ম্যানেজিং পার্টনার মতিউর রহমান, নোয়াখালী জেলার উচখালীর মৃত. মুক্তার মিজির ছেলে ও এম.এম.এস সোর্সিং এর মার্চেন্টডাইজিং ম্যানেজার হাফিজ উদ্দিন মিজি ও ঢাকা বনানীর মৃত. নজির উদ্দিনের ছেলে ও কোয়ালিটি লজিস্টিক লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হুদা তুহিন। বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট হারুনুর রশিদ জানান, তাদের এই চক্রটি বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গার ৩২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মালামাল নিয়ে টাকা পরিশোধ না করে প্রতারণা করে আসছে। গ্রেপ্তারকৃত ৩জন আসামীসহ মোট ৪জন নরসিংদীর জজ ভ’ঞা গ্রুপের ফে-ম্যাক্স সুয়েটার কম্পোজিট লি. এর কাছ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১লক্ষ ৪৭হাজার ৮৪৫ মার্কিন ডলার মূল্যের সোয়েটার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন অজুহাতে না দেয়ার পায়তারা করতে থাকে। এমতাবস্থায় চলতি মাসের ৩তারিখ নরসিংদী আদালতে ফে-ম্যাক্স সুয়েটার কম্পোজিট লি. এর জিএম শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করে। পরে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মাধবদী থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ৩জনকে গ্রেপ্তার করে মাধবদী থানা পুলিশ। আজ দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ৩জনকে নরসিংদী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনা হলে শুনানী শেষে আসামী মতিউর রহমান ও হাফিজ উদ্দিন মিজিকে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং নাজমুল হুদা তুহিনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। তিনি আরো জানান, তাদের একটি প্রতারক চক্র দেশের বিভিন্ন স্থানের ৩২টি লিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকার মালামাল নিয়ে টাকা পরিশোধ করে নাই। তাদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আদালত চত্ত্বরে উপস্থিত হয়।