স্টাফ রিপোর্টারঃ
১১ই নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে একাংশের আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে হত্যার চেষ্টাকারীর দোসর পলাশ উপজেলা যুবলীগের দায়িত্বে থাকার অধিকার রাখে না। তিনি বলেন গত ৬ আগস্ট ২০১৫ইং তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন সংস্করনে ‘‘দুর্ধর্ষ এমরানের কবর এখন মাজার” শিরোনামে সংবাদে উল্লেখ করে ১৯৭৩ সালে এক সন্ধ্যা ৭ টায় ৬/৭ জন অস্ত্রধারী গ্রুপ মতিঝিল বাংলার বাণী অফিসের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান নেয়। তাদের হাতে ছিল স্টেনগান, পিস্তল ও মরণঘাতী গ্রেনেড। তাদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে দৈনিক বাংলার বাণীর সম্পাদক ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণিকে হত্যা করা। এমরানের গাড়ী চালক এই হত্যা মিশনের খবর ফাঁস করে দেওয়ায় পুরো পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ঘটনাস্থলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিলে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয় এবং ধরা পরে নেতৃত্বদানকারী দুর্ধর্ষ যুবক এমরান ওরফে কাজী আবু এমরান। পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আল মোজাহিদ হোসেন তুষার আরো বলেন, পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেনের একটি ভিডিও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বক্তব্যে সৈয়দ জাবেদ হোসেনকে বলতে শোনা যায় আমার প্রিয় নেতা আমার গুরু শাহ সূফী কাজী এমরান শাহ্। আমরা যখন নেতৃত্বে এসেছি, কাজী এমরান খান যখন নেতৃত্বে এসেছে তখন ঘোড়াশালের মানুষ শতকরা ৯০ জন চাকরি করেছে। আল মোজাহিদ হোসেন তুষার বলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের হত্যার চেষ্টাকারী কাজী এমরান যদি পলাশ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ সাহেবের গুরু ও প্রিয় নেতা হয় তাহলে পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ বর্তমান সভাপতির হাতে নিরাপদ নয়। আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে বলবো পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতিকে বহিষ্কার করুন। আলোচনা শেষে ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা আওয়ামীযুবলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাসেল সরকার,পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি শহিদুল আলম সুজন, মোঃ মাকসুদুর রহমান, সহ সম্পাদক রাশেদ আলম রাসেল, চরসিন্দুর আওয়ামীযুবলীগের সভাপতি মোঃ আকরাম হোসেন, গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীযুবলীগের সভাপতি মোঃ ফারুক মিয়া, ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামীলীগের সকল ওয়ার্ড ও উপজেলার সকল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।