ডেস্ক রিপোটঃ
ভারতের কর্ণাটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব পরা নিয়ে তোলপাড় সমগ্র দেশ। তারই ঢেউ পড়েছে কর্ণাটকের বিধানসভায়ও। এরই মধ্যে রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এর আশপাশের এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ প্রধানের আদেশ অনুসারে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য যেকোনো স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোনো সমাবেশ, আন্দোলন বা বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে কর্ণাটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে হিজাব না পরার নির্দেশ দিতে পারে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মামলাটি হাইকোর্ট উচ্চতর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। বুধবার কর্ণাটক হাইকোর্টেরই আরেকটি বেঞ্চ মামলাটি প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আরেকটি বেঞ্চে পাঠায়।
কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীরা হিজাব পরার অধিকার নিয়ে বিতর্কের কারণে রাজ্যের সব স্কুল ও কলেজ তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার পর এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের আদালত।
কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচারকদের একটি প্যানেলের কাছে মামলাটি হস্তান্তরের সময় বিচারকেরা বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো ব্যক্তিগত অধিকার আইনের দিক বিবেচনা করে বেশ কিছু মৌলিক সাংবিধানিক প্রশ্নের জন্ম দেয়।’
এর আগে, গত জানুয়ারি মাসে কর্ণাটকের উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে হিজাবের অধিকার নিয়ে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়। সে সময় ছয় নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, মাথায় স্কার্ফ পরায় তাঁদের ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি।
কেবল উদুপি নয় চিক্কামাগালুরুতেও ডানপন্থী দলগুলো মুসলিম মেয়েদের ক্লাসে হিজাব পরার বিষয়ে আপত্তি জানায়।