নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর বেলাব থানাধীন পাটুলী ইউনিয়নের ভেঙ্গাডোবা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিবিএসসি রেখা আক্তারের নেতৃত্বে গত ৩-৭ ২০২৪ রাতের আঁধারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। জানাযায়, পাটুলী ইউনিয়নের নন্দরামপুর গ্রামের মৃত নজম আলীর ছেলে এরশাদুল হক ভূইয়ার সাথে ব্যবসায়ীক কারনে ৪৩ লক্ষ টাকার চেক দেয় একই ইউনিয়নের জামতলা গ্রামের অহিদুজ্জামান পিন্টু। সময় মতো চেক পাশ না হওয়ায় এরশাদ আইনের আশ্রয় নিলে চেকডিজনার মামলায় অহিদুজ্জামানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরই সূত্র ধরে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে অহিদুজ্জামানে এর স্ত্রী রেখা আক্তার ও তার ছেলে পাপন ৩০-৪০ জনের একটা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ওই দিনই রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠি সোটা, রামদা, ছুরি, বল্লম নিয়ে এরশাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। উক্ত ঘটনা বাড়িতে লাগানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। দেখা যায় ওহিদুজ্জামানের স্ত্রী ভেঙ্গাডোবা ক্লিনিকের সিসিবিএসসি রেখা আক্তার তার হাতে বড় লাঠি দিয়ে সিসি ক্যামেরায় আঘাত করতে। তারই ছেলে পাপন রামদা নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে সাথে ৩০- ৪০ জনের একটি টিম সবার হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। এ বিষয়ে এরশাদ বলেন,চেকের মামলায় ওহিদুজ্জামান গ্রেপ্তার হয়, অহিদুজ্জামান গ্রেফতার হওয়ার কারণে ঐদিন রাত ৯.৪০ মিনিটে রেখার নিজে সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার বাড়ীঘরে হামলা করে। তারা লাঠিসোটা, চাইনিজ কুড়াল, শাবল, রানদা, বল্লমসহ দেশীয় নানাবিধ অস্ত্র নিয়ে এসে ঘরে ঢুকে আমার মা ফাতেমা বেগম (৭০),গর্ববর্তী ভাবী রাশিদা আক্তার, ভাই শাহজাহান সহ আমাকে মারতে থাকে। আমি প্রাণ বাঁচাতে ৯৯৯ ফোন করি, পুলিশ আসতে দেরি হওয়ায় তারা আমার ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ ১২লক্ষ ৫০হাজার টাকা, সিসি ক্যামেরা, সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। ঐদিন সারারাত্র আমার বাড়িতে পুলিশ পাহারা দেয়। তাদের ভয়ে আমি আহত হয়েও কোন চিকিৎসা করাতে পারছি না, বাড়ি থেকে বের হইলে তারা আমাকে মেরে ফেলবে এমন হুমকি দেয়। এব্যাপারে আমি বেলাবো থানায় ন্যায় বিচারের আশায় একটি অভিযোগ দায়ের করছি। উক্ত ঘটনা নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এবিষয়ে ভেঙ্গাডোবা ক্লিনিকের সিবিএসসি রেখা আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী শান্তি শৃঙ্খলার লক্ষ্যে প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে।