নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই পক্ষের বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোনো ধরনের স্থাপনা বা দালানকৌঠা নির্মাণের উপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও আদালত থেকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ অমান্য করেই একটি পক্ষ প্রতিপক্ষের ভূমি জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং সেখানে তড়িঘড়ি করে দেয়াল নির্মাণ করে বিল্ডিং তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাটি নরসিংদী পৌরএলাকার বাসাইল মৌজায়।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাসাইল এলাকার বাছেদ খন্দকার নামে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তার প্রতিপক্ষ প্রতিবেশি মো: ইউনুস খন্দকারের প্রায় সাড়ে ৪ শতক বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে অন্তত কয়েক ফুট ভিতরে প্রবেশ করে এবং জোর করে দখলে নেয়। দখলে নেয়া জায়গায় ১০ ইঞ্চি পিলারের ইট দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করে এবং ভিতরে তড়িঘড়ি করে বিল্ডিং তৈরির কাজ করছে। অন্যায়ভাবে এমন দখলের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা করেছেন মো: ইউনুস খন্দকার। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একটি নিষেধাজ্ঞা নোটিশ প্রেরণ করেছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে এই বিরোধপূর্ণ বা নালিশা ভূমিতে কোনো ধরনের নির্মাণ কাজ এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যেন করা না হয় – এমন আদেশ দেয়া হয়েছে আদালত থেকে। কিন্তু এই আদেশ অমান্য করেই বাছেদ খন্দকার নির্মাণ কাজ তড়িঘড়ি করে চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া, আদালত থেকে বলা হয়েছে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে নালিশা ভূমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আগামী ৭ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার জন্য। কিন্তু এর আগেই প্রতিপক্ষের ভূমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন বাছেদ খন্দকার।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাছেদ খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার জমিতেই নির্মাণ কাজ করতেছি। আদালত থেকে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা অন্য দাগের জমি, নিষেধাজ্ঞার নোটিশে এই জমির দাগের কথা উল্লেখ করেনি। তবে তার প্রতিপক্ষ মো: ইউনুস খন্দকার জানিয়েছেন, আদালত থেকে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞার জমিই দখলে নিয়ে বিল্ডিং তৈরির কাজ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই এলাকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, নালিশা জমিতেই নির্মাণ শ্রমিকেরা পুরোদমে নির্মাণ কাজ করছে।
এছাড়া, এলাকাবাসীর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বললে তারা জানান, বাছেদ খন্দকার মোটামুটি প্রভাবশালী ব্যক্তি। তার তুলনায় ইউনুস খন্দকার নিরীহ এবং গরীব খেটে-খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। আর এই দুর্বলতার সুযোগে বাছেদ খন্দকার অনেকটা জোরকরেই তার জমির কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে।